• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

হরিরামপুরে ড্রেজারে চলছে বালু লোড- আনলোড,বাঁধ ধসের আশংকা স্থানীয়দের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

এস.এম.নুরুজ্জামান, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:

হরিরামপুরে নদী রক্ষা বাঁধ ঘেঁষে বলগেড দিয়ে চলছে বালু লোড- আনলোড। বাঁধ ধসের আশংকা করছে স্থানীয়রা। কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাঁধ ঘেঁষে বলগেড দিয়ে বালু লোড- আনলোড করছে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা।


জানা গেছে, হরিরামপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর ঘাট এলাকায় নদী রক্ষা বাঁধ ঘেঁষে উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ ড্রেজার বসিয়ে বালু লোড- আনলোড করছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা। সম্প্রতি সময়ে নদী ভাঙ্গন রোধে ওই এলাকায় বাঁধ দেয়া হয়েছে। নদী রক্ষা বাঁধ ঘেঁষে বলগেড দ্বারা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বড় বড় পাইপের মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বালু সরবরাহ করছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে হুমকিতে পড়ছে নদী রক্ষা বাঁধ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বাহাদুর ঘাট এলাকায় নদী রক্ষা বাঁধ ঘেঁষে চলছে উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ ড্রেজার। বাঁধের জিও ব্যাগের উপর দিয়ে বাঁশ গেঁড়ে পাইপের মাধ্যমে বালু সরবরাহ করা হচ্ছে গোপীনাথপুর ভাটিপাড়া এলাকায়।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর পদ্মার নদী ভাঙ্গনে হাজার হাজার কৃষি জমি, ঘর বাড়ি,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সেই নদী ভাঙ্গন রোধে গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর ঘাট এলাকায় নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। সেই বাঁধ ঘেঁষে দীর্ঘদিন যাবত বলগেড দিয়ে বালু লোড -আনলোড করা হচ্ছে। এতে রক্ষা বাঁধ হুমকিতে রয়েছে। প্রভাবশালী নেতা ড্রেজার চালালে সাধারণ মানুষ কি? করতে পারবে।

স্থানীয় রজ্জব নামের এক ব্যক্তি জানান, পদ্মার মাঝ নদী থেকে বালু উত্তোলন করে এনে বাঁধ ঘেঁষে বালু লোড- আনলোড করা হচ্ছে। আমরা জানি বালু মহল ইজারা হয়েছে লেছড়াগঞ্জ। এখন বালু তোলা হচ্ছে রামকৃষ্ণ বাহাদুর এলাকায়। বাঁধের জিও ব্যাগের উপর দিয়ে বাঁশ গেঁড়ে পাইপ টানানো হয়েছে। এবং নদীতে যে চর পড়েছিল বলগেড চলাচলে ওই চড় ভেঙে যাচ্ছে। এবং বাঁধের জিও ব্যাগের ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে।


গোপীনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মবি বলেন, ওই এলাকার স্থানীয়রা আমাদের কাছে মাঝে মাঝেই এসে তারা বলেন বলগেড চালানোর সময় বড় বড় পাঙ্গা ঘুরে। এরফলে জিও ব্যাগের ক্ষতির আশংকা রয়েছে। বাঁধ নির্মাণ করায় এলাকার জনগণ উপকৃত হয়েছে। বাঁধ নির্মাণের পর ওই এলাকায় আর নদী ভাঙ্গেনি।

এ ব্যাপারে হরিরামপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপসী রাবেয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা তিনি বলেন আমি শুনানি নিচ্ছি পরে কথা বলি। এরপর তিনি আর ফোন রিসিভ করেনি।

এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহরিয়ার রহমানের মুঠোফোন একাধিক বার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads